বাংলাদেশে সমাজকর্ম শিক্ষার সম্ভাবনা (Prospects of Social Work Education in Bangladesh)
সমাজকর্ম শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও সম্ভাবনাকে সামনে রেখেই ১৯৫৩ সালে এদেশে সমাজকর্ম নামক এক নতুন বিষয়ের অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছিল।
যা ক্রমউন্নতির ধারায় কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে একটি শক্ত ভিত তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।
ভবিষ্যতে আরও অগ্রসর হবে এবং সমাজকর্ম অনুশীলন দক্ষতা অর্জন করে পেশার পূর্ণ মর্যাদা অর্জন করবে। তাই বাংলাদেশে সমাজকর্ম শিক্ষার সম্ভাবনা যথেষ্ট উজ্জ্বল।
বাংলাদেশে সমাজকর্ম শিক্ষার সম্ভাবনা
Prospects of Social Work Education in Bangladesh
যে কোনো দেশেই যে কোনো পেশার সম্ভাবনা নির্ভর করে সে দেশের সেই পেশার শিক্ষার মান ও সম্ভাব্য প্রয়োগ ক্ষেত্রের উপর।
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষিতে যে সমস্ত ক্ষেত্রে সমাজকর্ম অনুশীলন সম্ভব ও কার্যকর বিবেচিত হবে সে সমস্ত ক্ষেত্রগুলো হচ্ছে:
- পরিবার কল্যাণ,
- শিশুকল্যাণ,
- নারী কল্যাণ ও ক্ষমতায়ন,
- যুবকল্যাণ,
- বৃদ্ধকল্যাণ,
- শ্রম কল্যাণ,
- পল্লি উন্নয়ন,
- শহর উন্নয়ন,
- মানবসম্পদ উন্নয়ন,
- স্বাস্থ্যসেবা,
- মানসিক স্বাস্থ্যসেবা।
- অপরাধ সংশোধন,
- প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন,
- জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ,
- বেকারত্ব দূরীকরণ,
- দারিদ্র্য দূরীকরণ,
- পারিবারিক বিশৃঙ্খলা দূরীকরণ,
- সমাজসংস্কার,
- সামাজিক নীতি ও পরিকল্পনা ইত্যাদি।
উক্ত ক্ষেত্রগুলোর বৈজ্ঞানিক সেবা ব্যবস্থায় পেশাদার সমাজকর্মের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই। অর্থাৎ সমাজকর্ম শিক্ষা ছাড়া সমস্যা সমাধান ও সমাজ উন্নয়ন সম্ভব নয়।
সুতরাং এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, বাংলাদেশে সমাজকর্ম শিক্ষার সম্ভাবনা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
সমাজ পরিবর্তনশীল। সমাজের চাহিদা এবং সেবা ব্যবস্থাও পরিবর্তনশীল। পৃথিবীর উন্নত দেশসমূহে সমাজকর্ম শিক্ষাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়।
ক্লিনিক্যাল সমাজকর্ম
মাইক্রো ও ম্যাক্রো সমাজকর্ম শিক্ষার প্রবর্তন বিশেষ করে ক্লিনিক্যাল সমাজকর্ম এই শিক্ষার সম্ভাবনাকে আরও প্রসারিত করেছে।
মনোচিকিৎসা সমাজকর্ম, হাসপাতাল সমাজকর্ম, শিল্প সমাজকর্ম প্রভৃতি শাখার সাথে আরও নতুন শাখা ও কৌশলের উদ্ভব ঘটছে।
বাংলাদেশের সমাজকর্ম শিক্ষা পাঠ্যক্রমও বর্তমানে আন্তর্জাতিক মানের। তাই সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলোতে সমাজকর্ম শিক্ষা ও দক্ষতার প্রয়োগ করলে এর সম্ভাবনা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকবে।